• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় বেড়েছে চালের দাম 

  • ''
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে মিনিকেট ও আঠাশ চাল কেজি প্রতি দুই টাকা করে দাম বাড়িয়েছে চালকল মিল মালিকেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই দরে তারা চাল বিক্রি করছেন। তবে বাসমতি চালের দাম বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। বাসমতি চাল কেজি প্রতি বেড়েছে ছয় টাকা।
মিল মালিকেরা বলছে,হাটে বাজারে মিনিকেট ও আটাশ চাল তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে ধান পাওয়া যাচ্ছে সেটা মণ প্রতি এক শ টাকা দাম বেড়েছে। তাই তারা চালের দাম বাড়িয়েছেন। আর খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে চালের দাম বেড়ে গেছে তারাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন 'আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন জেলা প্রশাসনের বেধে দেওয়া ৬২ টাকা দরে মিনিকেট চাল বিক্রি করেছি। কিন্তু হাটে ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ধানের দাম বেশি তাই বাধ্য হয়ে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে চালের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে রমজান মাসে কখনোই চালের দাম বাড়েনি। তবে এবার ব্যতিক্রম। ধানের দাম কেন বাড়লো কারা বাড়ালো সেটাও খতিয়ে দেখতে বলেন তিনি।

কয়েকজন মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে লোকশান থাকা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসনের বেধে থাকা দামে চাল বিক্রি করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে মার্চের শুরুতে চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সাথে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা হয়। সে সময় দাম বাড়ানোর আভাস দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন ধরে ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। তারপরে যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে আটাশ চাল বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ৫১টাকা দরে। আজ সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫৩ টাকা দরে। মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬২ টাকা দরে। আজ বিক্রি হয়েছে ৬৪ টাকা দরে। আর বাসমতি চাল বিক্রি হয়েছে এক সপ্তাহ আগে কেজি প্রতি ৬৮ টাকা দরে। আজ বিক্রি হয়েছে ৭৪ টাকা দরে।

গতকাল সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া পৌর বাজারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল আটাশ এবং মিনিকেট চাল কেজি প্রতি দুই টাকা করে তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

খুচরা চাল ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, মোকামে চালের দাম বেড়েছে। আমাদের কিছুই করার না। যা করার মোকামে গিয়ে কথা বললে সবচেয়ে ভালো হয়।

বাজারে চাল কিনতে আসা বেসরকারি এক চাকরিজীবী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ২০ দিন আগে মিনিকেট চাল ৭০ টাকা কমে কিনেছিলেন। আজকে ৭০ টাকা বেশি চাচ্ছে। চাল লাগবে তাই কিনতে বাধ্য হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজা বলেন, চালের দাম বাড়ানোর বিষয়টি নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে মিলমালিকদের সাথে কথা বলা হবে। বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads